১১ অক্টোবরের দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে কন্যা শিশুদের দিন হিসেবে পালিত হয়, এই দিনটিতে সারা বিশ্বে মেয়েদের অধিকার এবং মেয়েরা কিভাবে বিভিন্ন রকমের বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১১ অক্টোবর ২০২০, থেকে আমরা নারীদের এ দিনটি ডিজিটালভাবে উদযাপন করে যাচ্ছি।
WOW- বিশ্বের সকল নারীদের উৎসব একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন, এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য নারী এবং কিশোরীদের তাদের লক্ষ্য অর্জনে যে সকল বাধার সম্মুখীন হতে হয় তা পর্যালোচনা করা। নারী এবং কিশোরীদের সম-অধিকার নিশ্চিত করতে, এটি সবচেয়ে বৃহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব।
সপ্তাহব্যাপী উদযাপিত আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস ২০২০-এ আমরা কিশোরীদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প শুনি, ওরা কিভাবে সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে সমাধানের দিকে এগিয়ে যায়, নিচের ডিজিটাল কার্যক্রমগুলো উপভোগ করার পাশাপাশি ওরা এ থেকে শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারে:
শর্ট ফিল্ম স্ক্রিনিং
১১-১৭ অক্টোবর ২০২০
শিশু চলচ্চিত্র সংগঠনের সাথে মিলিতভাবে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়, যেখানে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা গল্পবলার মাধ্যমে শিশুদের উৎসাহ দিয়ে থাকেন। বয়স এখানে মোটেও মুখ্য কোন বিষয় নয়, কারণ এই কিশোরী নির্মাতারা তাদের কাজের জন্য সমাদৃত।
এই কন্টেন্টটি দেখতে প্রাপ্তবয়স্কদের নির্দেশনা প্রয়োজন।
সতর্কীকরণ: শিশুদের ফিল্মস সোসাইটি বাংলাদেশ (সিএফএস) এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দ্বারা সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত। চিত্রগ্রহণের কোনও অংশই চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পূর্ব লিখিত অনুমতি ছাড়া ফটোকপি, রেকর্ডিং, বা অন্য কোন উপায়ে সংরক্ষণ করা নিষেধ।
সন্তানের বেড়ে ওঠায় মা-বাবার ভূমিকা: সমঅধিকার শুরু হয় নিজ বাড়িতে
১৪ অক্টোবর ২০২০, বিকাল ০৫:০০ টা
আমরা বিশ্বাস করি সমঅধিকারের শুরু বাড়িতেই হয়, কারণ ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের শুরুটাও যে সেখানেই হয়। ছেলে ও কন্যা সন্তানের প্রতি করা বিভেদের জন্য তাদের কৈশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ড. মেহতাব খানম কর্তৃক পরিচালিত একটি ফেসবুক লাইভ সেশনে পিতামাতারা সন্তানের সুন্দর, সাবলীল ও সমঅধিকার নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য কিভাবে বাড়িতে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এখানে দেখুন।
মেহতাব খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের একজন সম্মানিত অধ্যাপিকা যিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মনোবিজ্ঞান কাউন্সেলিং বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলেন। তিনি ট্র্যান্স্যাকশনাল এনালাইসিস এবং নিউরো-লিঙ্গুইস্টিক প্রোগ্রামিং-এ ট্রেনিং প্রাপ্ত এবং দেশ বিদেশে কাউন্সেলিং সাইকোলজি বা সাইকোথেরাপিতে বিভিন্ন রকম কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। ড. খানম ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’ তে পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ‘সিসিমপুর’ শিশুতোষ টিভি প্রোগ্রামে সুপারভাইজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকায় তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি কলামও লিখেন।
শিশুদের জন্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র
১৬ অক্টোবর ২০২০
আপনি কি জানেন আপনি কোন বাজেট ছাড়াই শিশুতোষ শর্ট ফিল্ম বানাতে পারবেন? আপনার শুধু প্রয়োজন সৃষ্টিশীলতা! দেখুন রাকা নওশিন নাওয়ার কিভাবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র বানানোর জন্য কিভাবে বিভিন্ন রকমের টিপস এবং ট্রিক্স ব্যবহার করে থাকেন, কম খরচে কিভাবে তিনি প্রকৌশলের ছাত্রী হয়েও বানিয়ে ফেললেন শিশুতোষ চলচ্চিত্র।
এখানে দেখুন।
গল্পবলার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে পরিচালক এবং লেখিকা রাকা নওশীন নাওয়ার এর। পাশ্চাত্য এবং দক্ষিণ-এশিয়ার অনুভূতি রয়েছে রাকার চলচ্চিত্রে। সানসিল্ক ২০১৭ এর একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাকার সৃষ্টিশীলতার অভিষেক হয়, এরপর তিনি বিভিন্ন রকমের সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি ডকুমেন্টারিও পরিচালনা করেন। ২০১১ সালে প্রকৌশলে তার লেখাপড়া শেষ হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত প্রোডাকশন হাউস আপেলবক্সে কাস্টিং আসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন এবং পরিচালক হিসেবে তার সৃষ্টিশীলতার শুরু করেন।
এই কন্টেন্টটি দেখতে প্রাপ্তবয়স্কদের নির্দেশনা প্রয়োজন।
আপনার কোন জিজ্ঞাসা অথবা মন্তব্য থাকলে, যোগাযোগ করুন bd.enquiries@britishcouncil.org